Description
“হেঁটে চলেছি একসাথে একসঙ্গে/ অনেক চকগুঁড়ো/ অনেক বেপরোয়া পলাশের লাশ/ ও কৃষিঋণ এবং অনন্ত দলিল/ এবং অনন্ত আকাশ”, এই অনন্ত হেঁটে চলার মাঝেই একসময় “সূর্য লাল পতাকা কাঁধে ওই বন্ধ এনামেল কারখানার ধারে” দাঁড়াল। সূর্য পাঁচিল বেয়ে উঠতে গিয়ে ধপাস করে পুকুরের জলে গিয়ে পড়লে লাল পুকুরের গভীর জল থেকে “রাজনৈতিক বাস্তবতা উঠে এল ভালোবাসা হাতে”।”নিরীহ আধার কার্ড-এর মতো/ একটা বিড়াল, সাদা রং মেখে,/ পড়ে আছে অস্থির মাটিতে”…”কিন্তু আমরা গরীব মানুষ, জীবনে আকাশ দেখিনি,/ আকাশের ব্যাপকতা দেখিনি, চাঁদের আলোও দেখিনি/ আমরা কী করিয়া ‘গীতা’ ছুঁইয়া সত্য বলিব?”- তাই কাঠগড়ায় দাঁড়ালে অন্ধকার বর্ষা রাতের কথা মনে পড়ে আমাদের। পাঁচফোড়নের ঝাঁঝ মেশানো বাতাসে ভেসে “নৈহাটি থেকে যে/ মেয়েটি আসবে আমাদের ক্লাসে পড়তে / সে দৈববাণী পেয়েছে, বরের গাড়ি আছে”। “একটা বড় মাকড়সা মায়ার জাল বুনেছে বিরাট / আমাদের এই পোড়া রান্নাঘরে” – এই অবসরে মহাকালের “স্রোত ধীরে যোনি মধ্যে প্রবেশ করিয়া/ দিক হারাইয়া ফেলিল” – “সবাই বলল মাগীর আবার/ ছেলে হবে! ঐদিকে স্বামীটা পাগল!” কবি রাণা রায়চৌধুরীর ‘ব্ল্যাকবোর্ড’ জুড়ে এঁকেছেন এরকম আরও অনেক ছবি।
Reviews
There are no reviews yet.