Description
‘এক তারার কাল পেরিয়ে রাই ভেসে যাচ্ছে আরেক তারার দিকে’ – ‘কত পাললিক জন্ম…আগ্নেয় জন্ম পার করেছে সে। কত নদী তাকে নিঃস্ব করেছে…বাতাসে বাতাসে ঘৃণা জড়িয়েছে তার গায়ে…’- এভাবেই দীর্ঘ যাত্রাপথ অতিক্রম করে চলেন ‘রাই পদাবলী’ কবিতাগ্রন্থের রাই। ভাঙনের পরও মাটি আঁকড়ে তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন হরির লুটের বাতাসা কুড়োবেন বলে। ভাগের বাতাসা শ্যামের নাম স্পর্শ করে তার হাতে আসে। ‘কী নাছোড় এই ক্লান্তি/ কী দ্বন্দ্বময় এই নিঃস্ব হতে চাওয়া/তোমায় ছেড়ে যেতে চেয়ে/ তোমাতেই আবার জড়িয়ে যাওয়া’- যমুনার পথে যেতে গিয়ে দেবতার স্পর্শদোষে রাই দেবত্বে উত্তীর্ণ হন। তারপর সারাজীবন ধরে চলতে থাকে বিষন্নতার খোঁজ। তবু রিয়া চক্রবর্তীর রাই সম্পুর্ন সমর্পণের রাস্তা বেছে নেননি, স্মৃতির সীমানা পেরোনোর রাস্তা বানাতে গিয়ে তিনি আঁজলা পেতে দাঁড়িয়েছেন ঘৃণা আর অবজ্ঞার কাছে। তিনি জানেন – ‘যে কোন অজ্ঞাতবাস থেকে চাইলেই ফিরে আসা যায়’।
Reviews
There are no reviews yet.